Friday, March 21, 2014

ক্যানন এসএলআর ক্যামেরা ব্যবহার

বাংলা-টিউটর সাইটে ফটোগ্রাফি সম্পর্কে যাকিছু উল্লেখ করা হয়েছে সব যায়গায় নাইকন ক্যামেরার উল্লেখ করা হয়েছে। একটা কারন হতে পারে সেটা ব্যক্তিগতভাবে পছন্দের। আরেক জনপ্রিয় ব্রান্ড ক্যানন যারা ব্যবহার করেন তারা কিছুটা অস্বাচ্ছন্দবোধ করতে পারেন তাদের ক্যামেরা ব্যবহার সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়নি দেখে।
এখানে ক্যানন এসএলআর ক্যামেরার ব্যবহারের পদ্ধতি উল্লেখ করা হচ্ছে। ক্যামেরা মডেল হিসেবে জনপ্রিয় ইওস টি২আই (৫৫০ডি) বেছে নেয়া হয়েছে।
ক্যামেরা পরিচিতি
ক্যানন এবং নাইকন ক্যামেরার সামনের দিকে বিশেষ কোন পার্থক্য নেই। ওপরদিকে পার্থক্যের মধ্যে রয়েছে পাওয়ার সুইচ এবং মেইন ডায়াল, মোড ডায়াল এগুলির অবস্থানে। ব্যবহারের দিক থেকে সত্যিকারের পার্থক্য পেছন দিকে। বাটনগুলি ভিন্ন যায়গায় এবং ভিন্নভাবে সাজানো। আপনি নিশ্চয়ই ছবি দেখে জেনে নিতে পারেন কোটির অবস্থান কি।
কার্ড ছাড়া ছবি উঠানো
ক্যামেরায় যদি মেমোরী কার্ড না থাকে তাহলে সাটার রিলিজ বাটন কাজ করবে না। ক্যামেরার সবকিছু ঠিক আছে কিনা যাচাই করার জন্য মেমোরী কার্ড ছাড়াই ছবি উঠানোর ব্যবস্থা রয়েছে। ছবির প্রিভিউ দেখা যাবে, শুধু সেভ হবে না। ফল হিসেবে যা হয়, আপনার ক্যামেরায় কার্ড নেই অথচ আপনি ছবি উঠিয়ে যাচ্ছেন।
মেমোরী কার্ড না থাকলে ছবি উঠানো যাবে না নিশ্চিত করে নিন।
.          ক্যামেরা অন করুন।
.          পিছনদিকে মেনু বাটনে চাপ দিয়ে মেনু অন করুন।
.          মেনু ডায়াল ব্যবহার করে বামদিকের মেনু ট্যাব সিলেক্ট করুন। মেনুতে নিচের দিকে Release shutter without card সিলেক্ট করুন।
.          পরের মেনুতে Disable অপশন সিলেক্ট করুন।
.          মেনু বাটনে চাপ দিন।
এরফলে কেবলমাত্র কার্ড থাকলেই সাটার রিলিজ বাটন কাজ করবে।

ছবির মান ঠিক করুন
ইচ্ছে করলে আপনি সেন্সরের পুরো রেজ্যুলুশনে ছবি উঠাতে পারেন (অধিকাংশ সবয় সেটা করবেন), অথবা ছবির রেজ্যুলুশন কমিয়ে ছবি উঠাতে পারেন। রেজ্যুলুশন কমানোর একটাই সুবিধে, এতে ফাইলসাইজ ছোট হয়, ফলে অল্প যায়গার কার্ডে বেশি ছবি উঠানো যায়। ক্যাননে ৬টি ভিন্ন ভিন্ন রেজ্যুলুশনে ছবি উঠানো যায়।
.          পিছনদিকে মেনু বাটনে চাপ দিন।
.          মেইন ডায়াল ব্যবহার করে একেবারে বামদিকের মেনু ট্যাব সিলেক্ট করুন।
.          মেনুতে Quality অপশন বের করুন।
.          সেট বাটনে চাপ দিন।
.          যে সেটিং ব্যবহার করতে চান সেটা সিলেক্ট করুন।

অটো-আইএসও বন্ধ করুন
আলো কম থাকলে আইএসও এর মান নিজে থেকেই বেড়ে যায়, ফল হিসেবে পাওয়া যায় নয়েজযুক্ত ছবি। আপনি অটো আইএসও পরিবর্তণ বন্ধ করে নিজের পছন্দমত আইএসও ব্যবহার করতে পারেন। উজ্জল আলোর জন্য এর মান ১০০ থেকে ২০০ এর মধ্যে রাখা হয়, ঘরের মধ্যে বা মেঘলা দিনে ৪০০ পর্যন্ত ব্যবহার করা হয়। আপনার কাজ আইএসও যতটা কম রেখে গ্রহনযোগ্য ছবি উঠানো যায়। কখনো কখনো কম আলোর ছবি উঠিয়ে পরবর্তীতে সফটঅয়্যার ব্যবহার করে সেটা ঠিক করে নিতে পারেন, নয়েজ দুর করার বিষয়টি তারচেয়ে জটিল।
.          ক্যামেরা চালু অবস্থায় ওপরের দিকে আইএসও বাটনে চাপ দিন।
.          মেইন ডায়াল ব্যবহার করে পছন্দের আইএসও সিলেক্ট করুন।
.          আরেকবার আইএসও বাটনে চাপ দিন। পরিবর্তন না করা পর্যন্ত পছন্দের আইএসও ব্যবহৃত হবে।

হোয়াইট ব্যালেন্স সেট করা
একে ধরনের আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য একেরকম। এর প্রভাব পড়ে সাদা রঙের ওপর। একারনেই কোন ছবি লালচে, কোনটি নিলচে দেখায়। ছবি উঠানোর সময় সকাল, দুপুর, মেঘলা, ফ্লরোসেন্ট বাতি, টাংষ্টেন বাতি, ফ্লাশ ইত্যাদি অনুযায়ী সাদা রঙ কেমন দেখা যাবে ঠিক করে নিতে হয়। একে বলা হয় হোয়াইট ব্যালান্স।
.          অটো মোডে হোয়াইট ব্যালান্স ঠিক করা যায় না। ক্যামেরাকে ক্রিয়েটিভ মোডে নিন (যেমন P)
.          ক্যামেরার পিছনদিকে WB লেখা বাটনে চাপ দিন।
.          এরো কি ব্যবহার করে আলোর সাথে মিল রেখে সঠিক সেটিং সিলেক্ট করুন।
.          সেট বাটনে চাপ দিন।

ভিউফাইন্ডার ডাইঅপ্টার এডজাষ্ট করা
ভিউফাইন্ডার ব্যবহারের সময় সামনের দৃশ্য স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে না ? এর নিজস্ব ফোকাসের ব্যবস্থা রয়েছে যা পরিবর্তন করে ঠিক করে নেয়া যায়।
.          ক্যামেরার সামনে কিছু ফোকাস করুন।
.          ভিউফাইন্ডারে সাথে নব ব্যবহার করে ফোকাস স্পষ্ট করুন।

অটোফোকাস/ষ্ট্যাবিলাইজার অন/অফ করা
আপনি হয়ত ফোকাস রিং ব্যবহার করে ফোকাস করতে চান। যেমন আপনার সামনে একটি গাছের পাতা এবং দুরে আরেকটি ফুল রয়েছে, আপনি চান পছন্দমত এর যেকোন একটিকে ফোকাস করতে।  অটোফোকাস অফ করে নিন।
কিংবা ইমেজ ষ্ট্যাবিলাইজেশন অফ রাখতে চান ক্যামেরাকে ট্রাইপডে ব্যবহারের সময়
.          লেন্সের গায়ে AF/MF সুইট ব্যবহার করে অটোফোকাস অন/অফ করুন।
.          লেন্সের গায়ে Stabilizer On/OFF লেখা সুইচ ব্যবহার করে ষ্ট্যাবিলাইজেশন অন/অফ করুন।

সাধারনভাবে এই কন্ট্রোলগুলি ব্যবহার করে আপনি ক্যানন এসএলআর ক্যামেরায় ভাল ছবি উঠাতে পারেন। অবশ্য ভাল ছবির ধারনা একে জনের কাছে একেক রকম। এবিষয়ে আগামী টিউটোরিয়ালে।

1 comment:

  1. ফটোগ্রাফির জন্য লাইটরুম

    তরুণদের কাছে ফটোগ্রাফি বিষয়টি জনপ্রিয়তার শীর্ষে। শখের পাশাপাশি পেশা হিসেবেও ফটোগ্রাফির চাহিদা দ্রুত বাড়ছে। সাধারন ডিজিটাল ক্যামেরা, মোবাইল ক্যামেরা ছেড়ে হাতে উঠে আসছে DSLR (ডিজিটাল সিঙ্গেল লেন্স রিফ্লেক্স) এর মত অত্যাধুনিক ক্যামেরা। ফটোগ্রাফির আছে নানান ক্যাটাগরি। কেউ ন্যাচার ফটোগ্রাফি করতে ভালোবাসেন, কেউ কমার্শিয়াল ফটোগ্রাফি করতে আগ্রহী। পেশা হিসেবে ওয়েডিং ফটোগ্রাফি তরুণ চাহিদার তুঙ্গে। এগুলোরও অসংখ্য ধরন আছে ল্যান্ডস্কেপ, পোট্রেইট, প্রোডাক্ট, ম্যাক্রো, ফরেনসিক, ট্রাভেল, ইভেন্ট ফটোগ্রাফি ইত্যাদি।
    ফটোগ্রাফির চাহিদা ও জনপ্রিয়তা কেবল দেশের গণ্ডির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। ভালো ফটোগ্রাফারের কদর রয়েছে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে। গুণী ফটোগ্রাফারদের ছবিগুলো বিশ্ববিখ্যাত এ্যাওয়ার্ড বয়ে আনছে। ভালো ছবি থেকে আয় করার বিশাল সুযোগ রয়েছে। অনলাইনে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ছবি বেচাকেনাও হচ্ছে এখন।
    পেশা কিংবা শখ যে উদ্দেশ্যেই তোলা হোক ছবি হতে হবে পারফেক্ট। একটা ভালো ছবির পুরোটাই তোলার ওপর নির্ভর করে না। প্রায় অনেকাংশই নির্ভর করে প্রোপার এডিটের ওপর। প্রোপার এডিট জানা না থাকায় অনেকেই ফটোগ্রাফিতে তাদের কাঙ্ক্ষিত জায়গায় পৌঁছুতে পারছে না। এই ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতায় অন্যদের টপকে যেতে ছবি তোলার দক্ষতার পাশাপাশি ছবি এডিটিংয়েও দক্ষতার পরিচয় দিতে হবে।
    মোবাইল ক্যামেরা কিংবা সাধারন ডিজিটাল ক্যামেরায় ছবি তোলা যেমন সহজ তেমনি সেগুলো এডিট করাও সহজ। খুব সাধারন কিছু কারেকশন ও ইফেক্ট যুক্ত করা ছাড়া ওগুলোতে আর তেমন কোন কাজ করা যায় না। এক্ষেত্রে DSLR ক্যামেরায় তোলা ছবি এডিটিং তুলনামুলক জটিল। এসব ছবিতে করার মত অনেক কাজ থাকে। যা ছবিকে আন্তর্জাতিক মানে পৌঁছে দিতে পারে।
    এডিটের কথা বলতে গেলে একটু পেছনের দিকে তাকাতে হয়। একটা সময় ছিল যখন ছবি এডিট থেকে ডেভেলপের সমস্ত কাজ করতে হত ডার্ক রুমে। একটি অন্ধকার ঘরে, অনেক সাবধানে, সময় নিয়ে ছবির খুঁটিনাটি সংশোধন করা হত। সামান্য অসাবধানতায় অনেক ক্ষতির সম্ভাবনা থাকতো। সময়ের সাথে সাথে এই ধারার পরিবর্তন এসেছে। তোলা ছবির পূর্ণাঙ্গ এডিটিং এখন সফটওয়্যারেই সম্ভব।
    ছবি এডিটিঙের সফটওয়্যার হিসেবে ফটোশপের কথাই সবাই সাধারনভাবে জানে। কিন্তু ফটোশপ মূলত গ্রাফিক্স ডিজাইন সংক্রান্ত কাজের জন্যই বেশি উপযোগী। ক্যামেরায় তোলা ছবির এডিটিংয়ের জন্য উপযুক্ত সফটওয়্যার হল ‘লাইটরুম’। এটা ফটোগ্রাফারদের অত্যাবশ্যকীয় সফটওয়্যার। পেশাদার ফটোগ্রাফিতে বর্তমানে এই সফটওয়্যারের উপযোগিতা সবচেয়ে বেশি। ছবির কালার, এক্সপোজার কারেকশনের মত বেসিক থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক মানের এডিটিং এই সফটওয়্যার দিয়ে করা হয়।
    বর্তমান তরুণ প্রজন্মের ফটোগ্রাফিক চাহিদার কথা মাথায় রেখে ‘লাইটরুম’ নিয়ে টিউটোরিয়াল তৈরি করেছেন ইমরান হোসাইন হিমেল। এখানে এ্যাডব লাইটরুমের ব্যবহার এ টু জেড দেখানো হয়েছে। ব্যবহারকারিদের সুবিধার্থে প্রয়োজনীয় উপকরণগুলো সংযুক্ত করা আছে। বাংলাদেশে, বাংলা ভাষায় এটিই লাইটরুমের প্রথম ও একমাত্র টিউটোরিয়াল।

    টিউটোরিয়ালটি সংগ্রহ করা যাবে রকমারি ডট কম থেকে।
    টিউটোরিয়ালটি সংগ্রহ করতে Product Link: https://www.rokomari.com/book/127658/ ফোন- ১৬২৯৭ অথবা ০১৫ ১৯৫২ ১৯৭১, ০১৮৪ ১১৫ ১১৫ ।

    লাইটরুম এর এই টিউটোরিয়াল দিয়ে আপনি ঘরে বসেই শিখতে পারবেন। প্যকেজটিতে টিউটোরিয়াল ছাড়াও রয়েছে সফটয়্যার, মেটেরিয়ালসহ 100+ RAW Photograph NEF, CR2 ইত্যাদি।

    Teaser Link: https://www.youtube.com/watch?v=E_gY1Be2TuU
    Product Link: https://www.rokomari.com/book/127658/
    #Photography
    #Lightroom

    ReplyDelete